যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে তালেবান-আফগান সরকার

0

ডেস্ক রিপোর্ট: তালেবানের কাছে একের পর এক জেলা হাতছাড়া হওয়ার পর উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে পাল্টা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে আফগানিস্তান সরকার। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির এক মুখপাত্রের বরাতে রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ এমন খবর দিয়েছে।সোমবার (৫ জুলাই) দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মোহিব বলেন, তালেবানের সহিংসতা সরকারি বাহিনী প্রত্যাশা করেনি। কিন্তু তারা হামলা অব্যাহত রাখায় আমরা সুনির্দিষ্টভাবে পাল্টা আঘাতের পরিকল্পনা করেছি।স্থলবেষ্টিত দেশটির উত্তরাঞ্চল দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে তালেবান। রোববার রাতে কয়েকটি জেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তারা নতুন গতিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে। তালেবানের প্রতিরোধের মুখে আফগান বাহিনী পালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তারা প্রতিবেশী তাজিকিস্তানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।তাজিকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি জানিয়েছে, সাবেক সোভিয়েত দেশটিতে আফগান বাহিনীর এক হাজার ৩৭ সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। তালেবানের সঙ্গে সংঘাতে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে তাদের।এক বিবৃতিতে তারা আরও জানায়, ভালো প্রতিবেশী হিসেবে নীতিগত অবস্থান ও আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার চিন্তা থেকে আফগান সরকারি বাহিনীর সদস্যদের তাজিক ভূখণ্ডে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।আফগানিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চলের তাজিক সীমান্তে বাদাখাসান প্রদেশের ছয়টি জেলার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে। দেশটির ৪২১টি জেলার প্রায় এক তৃতীয়াংশই এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।তালেবানের সবচেয়ে বেশি সফলতা এসেছে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় অর্ধেক অংশ থেকে। মার্কিন মিত্র যুদ্ধবাজ নেতাদের শক্তঘাঁটি বলা হয় এই অঞ্চলকে। ২০০১ সালে তালেবানকে উৎখাত করতে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছিল।গত মে মাসের শুরুতে তালেবান হামলা শুরু করলে সরকারি বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য তাজিকিস্তানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নাগাদ মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে আফগান সামরিক বাহিনীর পতন ঘটবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।গত দুই দশকের যুদ্ধ শেষে দেশটি থেকে সেনাপ্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কান্দাহারে আফগান বাহিনী ও তালেবানের সংঘাতে বহু পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছে।

Share.