যে অত্যাধুনিক ড্রোন দিয়ে সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ইরানের ক্ষমতাধর রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাশেম সোলাইমানি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার ধোষণা দিয়েছে ইরান। আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ৫২টি স্থাপনায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। হুমকি পাল্টা হুমকি মধ্যই বেড়েছে তেলের দাম, পড়েছে অর্থের মূল্য। এ ইস্যুতে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের’ আশঙ্কা করেছেন অনেকে। এদিকে খবর বেড়িয়েছে চৌকস এ জেলারেলকে যে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয় তার নাম। অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন ‘এম কিউ-নাইন র‌িপার’ দিয়ে সোলাইমানির গাড়িতে হামলা চালানো হয়। ডেইলি মেইলসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ডেইল মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ড্রোন ‘এম কিউ-নাইন র‌িপার’-এ একবার জ্বালানি ভরলে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত হামলা চলতে পারে। ‘এম কিউ-নাইন র‌িপার’ ড্রোনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৮২ কিলোমিটার পর্যন্ত। ড্রোনটিতে আছে অত্যাধুনিক ইনফ্রারেড ক্যামেরা। এই ক্যামেরায় রাতের বেলায়ও যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি পরিষ্কার পাঠিয়ে দেওয়া যায় দূরের সামরিক ঘাঁটিতে বসে থাকা চালকের মনিটরে। আরও বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আছে এ চালাকবিহীন বিমানে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিমান হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। হামলায় ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবি’র উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ মোট ১০ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে পাঁচজন ইরানের ও পাঁচজন ইরাকের। ইরাকের পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন আবু মাহদি আল-মুহানদিস, যিনি ইরানের সমর্থনপুষ্ট খাতিব হেজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার এবং ইরাকি মিলিশিয়াদের একটি জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের নেতা ছিলেন।

Share.