শেরপুরে বন্যার অবনতি, পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু

0

বাংলাদেশ থেকে শেরপুর প্রতিনিধি: টানা বর্ষণ ও উজানের পানিতে ভারত সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পানিতে নিখোঁজ হওয়ার ১৫ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে উপজেলার পৃথক স্থান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- সদর ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়া গ্রামের মৃত. নফজ উদ্দিনের ছেলে কৃষক আশরাফ আলী (৬০) ও ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা গ্রামের শেখ কাদের আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রি আবুল কালাম (৩৩)। স্থানীয় ইউপি সদস্য রকিব বাদশা জানান, শুক্রবার বিকাল পাঁচটার দিকে বৈরাগীপাড়া গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী অসাবধানতায় বন্যার পানিতে পড়ে ভেসে যান। পরে আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার শেষপ্রান্তে পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকালে বাগেরভিটা গ্রামের রাজমিস্ত্রি আবুল কালাম হাঁস ধরতে গিয়ে বন্যার পানিতে ভেসে নিখোঁজ হন। পরে পরে আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাগেরভিটা এলাকার বিলের পানিতে ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেন আত্মীয়-স্বজনরা। এর আগে শুক্রবার দুর্ঘটনার খবর পরপরই নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা। তবে রাত আটটা পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের পাওয়া না যাওয়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। ঝিনাইগাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক দুইজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবন দেখা দিয়েছে। ভারতের মেঘালয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সীমান্তবর্তী জেলায় এ বন্যা দেখা দিয়েছে। মহারশী এবং সোমেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলা সদরে ও বিভিন্ন গ্রামে পানি আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হলে বন্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। প্রথম দফায় বন্যার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসনের বরাদ্দের ১৫ মেট্রিক টন চালের মধ্যে ইতোমধ্যে ১০ মেট্রিক টন বিতরণ করা হয়েছে। পানিবন্দিদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

 

Share.