সিনহা হত্যা মামলা যেনো সাগর-রুনির মতো না হয়: বিশ্লেষকদের মতামত

0

ঢাকা অফিস: কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে ডকুমেন্টারি নির্মাণে যুক্ত শিপ্রা দেবনাথের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে তা এ হত্যাকাণ্ড ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার একটি অপচেষ্টা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। টেকনাফ থানার সাবেক ওসিসহ মামলার অন্যান্য আসামিদের কিছু পুলিশ সদস্য বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলেও মনে করেন তারা।গেল ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হবার পর রিসোর্ট থেকে আটক করা হয় তার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ল্যাপটপ ও হার্ডড্রাইভ পুলিশ নিয়ে গেলেও তা জব্দ তালিকায় দেখায়নি। শিপ্রা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয় শিপ্রার ব্যক্তিগত কিছু ছবি। এসব ছবি ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে রোববার দুই পুলিশের এসপির বিরুদ্ধে আদালতে রিট করেছেন এক আইনজীবী। মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান মনে করেন মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এমন ঘৃণ্য কাজ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই কর্মকাণ্ডটি যারাই করেছেন তারা মনে হয় ভুলে গিয়েছেন যে, হত্যাকাণ্ডের সাথে একটি ব্যক্তির চরিত্রের সাথে কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। এখানে আমরা দেখতে চাই না কার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র এবং কে সামাজিক বিচার বিবেচনায় প্রত্যাশিত আচরণ করেনি। এটি হত্যাকাণ্ডের জন্য কোনও ভাবেই ভূমিকা রাখতে পারে না। আইনের একজন ছাত্র হিসেবে আমি তা বিশ্বাস করি না। ড. মিজানুর রহমান আরও জানান, যখন তরিঘড়ি করে অন্যদের আটক করে রিমাণ্ডে নেয়া হয় এবং মূল সংশ্লিষ্টদের রিমাণ্ডে নিতে দেরি হয় তখন কিন্তু জনগণের মনে নানা ধরনের প্রশ্নের জন্ম দেয়। অপরাধ বিশেষজ্ঞ জিয়া রহমান মনে করেন পুলিশের সদস্যরাই এ মামলাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও বলেন, একজন ব্যক্তির দায় বাহিনীর ওপর কখনো আসে না। আমরা জানি না সিনহা হত্যা আরেকটি সাগর-রুনি কিংবা তনু হত্যার রহস্যের মতই ডিপ ফ্রিজে চলে যায় কিনা, সে ধরনের আশঙ্কা কিন্তু আমাদের সামনে চলে আসছে। জিয়া রহমান জানান, বিভিন্ন মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের খবর চলে এসেছে। চার্জশিট দেওয়া হয়েছে এবং এই ঘটনাটি  ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করা হচ্ছে কি না সেটি একটি বড় প্রশ্ন।  এ মামলার মূল আসামিদের এখনও রিমান্ডে না নিতে পারারও সমালোচনা করেন তারা। সাবেক মেজর সিনহা হত্যা কোন সংস্থার নয় বরং ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবে নিয়ে দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি তাদের।

Share.