সিয়াটলে বিক্ষোভকারীদের হটানোর হুমকি ট্রাম্পের

0

ডেস্ক রিপোর্ট: কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে বর্ণবেষম্য বিরোধী বিক্ষোভ আর যেন সহ্যই করতে পারছেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিয়াটলে পুলিশমুক্ত এলাকায় বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে শামিল হলেও সেখান থেকে তাদের হটিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। হুমকি দিয়েছেন ওই এলাকাটি ফের পুলিশের দখলে নেওয়ার। তবে ওয়াশিংটন স্টেট নেতারা ওই এলাকায় কোনো হস্তক্ষেপ না করার জন্য ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়েছেন। খবর বিবিসির। সিয়াটলের ক্যাপিটল হিল স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল শাজে গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত সোমবার সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হওয়ার পর পুলিশই একসময় ওই এলাকা ত্যাগ করে। পরে বিক্ষোভকারীরা সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন।ওই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য করে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, এলাকাটি ‘স্থানীয় সন্ত্রাসীরা’ দখলে নিয়েছে। এ নিয়ে একের পর এক টুইট করেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটন স্টেটের ওই অঞ্চলের লিবারেল ডেমোক্রেটিক নেতাদের প্রতি এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘এখনই আপনাদের শহর কব্জায় নিন। যদি আপনারা সেটি না পারেন, তবে আমিই তা দখলে নেব।’ আরেক টুইটে ট্রাম্প বলেন, গৃহপালিত সন্ত্রাসীরা সিয়াটল দখলে নিয়েছে অথচ ওয়াশিংটন গভর্নর জে ইন্সলি ‘বোকার মতো চেয়েই’ আছেন।তবে ট্রাম্পের এই গালির জবাব সঙ্গে সঙ্গেই দিয়েছেন ওয়াশিংটন গভর্নর। তিনি পাল্টা টুইটে বলেছেন, যে ব্যক্তি শাসনব্যবস্থা চালাতে পুরোপুরিই অক্ষম, তার ওয়াশিংটন রাজ্যে মাথা না গলালেও চলবে।  সিয়ালট সিটির মেয়র জেনি ডুরকানও এক টুইটে ট্রাম্পকে বলেছেন, আমাদের সবাইকে নিরাপদ থাকতে দিনে। আপনি নিজের বাংকারে ফিরে যান। এদিকে ট্রাম্পের সুর ধরে পুলিশও ফের ওই অঞ্চল নিজেদের কব্জায় নেওয়ার চিন্তা করছে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের সহকারী প্রধান ডিয়ানা নোলেট বলেন, বিক্ষোভকারীরা ক্যাপিটল হিলে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর হুমকি দেওয়ায় পুলিশ সরে আসে। তবে ওই এলাকা আর বেশিদিন এভাবে রাখা হবে না। উল্লেখ্য, গত ২৫ মে মিনিয়েপোলিসে পুলিশের নির্যাতনে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড। এ ঘটনায় বর্ণবৈষম্য বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

Share.