ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় ১১ দিন তাণ্ডব চালানোর পরও ক্ষান্ত হয়নি দখলদার ইসরায়েল। এখন তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুপ্তহত্যা অভিযান চালাচ্ছে। মূলতযুদ্ধবাজ ইসরায়েলি সরকারের নির্দেশে প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে খুনী ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীরা।আল-আমারি শরণার্থীশিবিরে ২৪ বছরের আহমেদ ফাহাদের জানাজা চলছিল। এ সময় আহমেদ ফাহাদের মা উম ফাহাদ অঝোরে কাঁদছিলেন। তিনি বলেন, ‘নির্মমভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। হাসিখুশি ছেলেটি ছিল খুবই বন্ধুবৎসল।’ আল বিরেহ মিউনিপ্যালিটিতে কাজ করতেন ফাহাদ। কয়েক সপ্তাহ পরেই তার বিয়ের কথা ছিল। জানা যায়, আহমেদ ফাহাদের পরিবার বলছে, ইসরায়েলি গুপ্তচরেরা প্রথমে ফাহাদকে আটক করে। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তাকে বেশ কয়েকবার গুলি করা হয়। ফিলিস্তিনের রামাল্লার কাছে উম আল শরায়েত এলাকায় একটি রাস্তায় গত মঙ্গলবার তার মরদেহ ফেলে যাওয়া হয়।ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুহাম্মদ আল-আওদা কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল–জাজিরাকে বলেন, রামাল্লা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ফাহাদকে খুব কাছ থেকে কয়েকটি গুলি করা হয়েছে।রামাল্লায় নিযুক্ত মানবাধিকার সংস্থা আল-হক এর মানবাধিকারকর্মী শাওয়ান জাবারিন বলেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে যাচ্ছে। গুপ্ত সংস্থার পরিচালিত এসব হত্যাকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা নয়।জাবারিন বলেন, আহমেদ ফাহাদের হত্যা নিয়ে তারা তদন্ত চালাচ্ছেন। তবে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি মুসতা’রিবিন নামে ইসরায়েলি গুপ্ত সংস্থার সদস্যরা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছেন।জাবারিন আরও বলেন, প্রতি রাত দুইটার পরে রামাল্লায় ইসরায়েলি সেনারা এসে ধরপাকড় চালায়। তিনি আরও বলেন, গুলি করে হত্যার পরে ইসরায়েলি শিন বেত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পরিবারগুলোকে ফোন করে। যাদের এভাবে হত্যা করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ আনা হয়। এটা স্পষ্ট যে প্রতিশোধ নিতেই এ ধরনের হামলা চালানো হয়।প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের বিশেষ বাহিনী মুসতা’রিবিন সহিংস আচরণের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। ফিলিস্তিনি বিভিন্ন এলাকায় তারা গুপ্তহত্যা চালায়। মুসতা’রিবিনের কমান্ডোরা আরব মুসলিমদের মতো পোশাক পরে এবং আরবি ভাষায় কথা বলে।
মুসলিম সেজে ফিলিস্তিনে গুপ্তহ’ত্যা চালাচ্ছে ই’সরায়েলি গু’প্তচররা
0
Share.