পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত

0

বিনোদন ডেস্ক: আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে পরীমনির বিরুদ্ধে র‌্যাবের করা এই মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এর আগে মঙ্গলবার সকালে শুরু হয় মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলার বাদী র‌্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান মামলায় প্রথম সাক্ষী দেন। পরীমনির অনুপস্থিতিতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে মামলার অপর দুই আসামি পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির খালু মো. কবীর হাওলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম। গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত বছর ৪ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা। গত বছর ৪ আগস্ট বিকালে বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় সেখান থেকে ১৯টি বোতলে ১৮.৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি নামক মাদক জব্দ করা হয়। চার্জশিটে বলা হয়, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ হওয়া মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। তদন্তকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর লিখিতভাবে জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামীয় মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়। যা ২০২০ সালের ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হয়েছে। অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহের বিষয়ে বলা হয়, পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। ৮ আগস্ট আটক করার পরদিন পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে র‌্যাব। সেই মামলায় তিন দফা রিমান্ড শেষে অভিনেত্রীকে কারাগারে পাঠায় আদালত। তাকে রাখা হয় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। এই সময়ের মধ্যে একাধিক বার আবেদন করেও জামিন পাননি পরীমনি। শেষমেশ তারা হাইকোর্টের দারস্থ হন। এরপর হাইকোর্ট পরীমনির জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। সেই মতো গত ৩১ আগস্ট নায়িকাকে জামিন দেয় ঢাকার দায়রা জজ আদালত। পরদিন পরীমনি ছাড়া পান কারাগার থেকে।

Share.