রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশে, জানুন কী সেটা

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়ল বাংলাদেশে। রুশ আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর দেয়া নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ায় তৈরি-পোশাক রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা। সম্প্রতি রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট পেমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে দেশটির ব্যাংকগুলোকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। এর প্রেক্ষিতে আগাম সতর্কতা হিসেবে রাশিয়ার তৈরি পোশাক রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে তৈরি পোশাকের মূল্য পরিশোধে জটিলতা তৈরি হবে। এজন্য আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন গার্মেন্টস মালিকরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)’র পক্ষ থেকে সদস্য কারখানা মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে সংগঠনটি বলছে, সুইফট বন্ধের আশঙ্কা দেখা দেয়ায় রাশিয়ান ক্রেতাদের কাছ থেকে নতুন করে রপ্তানি অর্ডার যাতে না নেয়া হয়। এখন নতুন করে কোনো শিপমেন্টও হচ্ছে না বলেও বিজিএমইএ সূত্র জানিয়েছে। রাশিয়াতে তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে রপ্তানি করতে হয়। সুইফট বন্ধ হয়ে গেলে পেমেন্ট করা যাবে না। আর পেমেন্ট বন্ধ থাকলে রপ্তানিই বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের নতুন এবং সম্ভাবনাময় বাজার রাশিয়া। কয়েক বছর ধরে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়ছে। ইউক্রেনেও রপ্তানি হয়, তবে সেটা কম। সরাসরি এবং তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে রাশিয়ায় বছরে এক বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে।রাশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সাড়ে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক যায় বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ সূত্র। তথ্য মতে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে যায় আরও সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক। সবমিলিয়ে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয় রাশিয়ায়। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে ৪১৫ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলারের পোশাক, যা গত বছরের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ এসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন বলেছেন, রাশিয়ায় বাংলাদেশের পোশাকের বাজার খুব বড় না হলেও একেবারে কম নয়। সেখানে নিটওয়্যারের প্রচুর রপ্তানি আছে। রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য ইউরোপের ট্রানজিট নিতে হয়। সেই ট্রানজিট যদি না হয় তাহলে পোশাক খাত হুমকির মুখে পড়বে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। বার্ষিক রপ্তানির ৬৪ শতাংশই যায় ইউরোপের দেশগুলোতে।

 

Share.