ডেস্ক রিপোর্ট: নাইজেরিয়ায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। নষ্ট হয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ ফসল। দেশটিতে এমন ভয়াবহ বন্যা গত এক দশকে দেখা যায়নি। প্রবল বৃষ্টিপাত এবং দুর্বল অবকাঠামোর কারণে সৃষ্ট বন্যায় নাইজেরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর প্রভাবে আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নাইজেরিয়ার মানবিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বলেছে, বন্যায় ১৪ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মারা গেছেন প্রায় ৫০০ জন, আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৪৬ জন। এছাড়া ৪৫ হাজার ২৪৯টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে ৭০ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমির ফসল। জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র মানজো এজেকিয়েল গত বুধবার বলেছেন, প্রাপ্ত এসব পরিসংখ্যান মূলত গত সপ্তাহান্তের। তিনি বলেন, যদিও বর্ষাকাল জুনের কাছাকাছি শুরু হয়েছে, তবে বেশিরভাগ মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা শুরু হয়েছিল আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অ্যানামব্রায় বন্যার মধ্যে গত শুক্রবার নাইজার নদীতে একটি নৌকা ডুবে ৭৬ জন মারা গেছেন। নাইজেরিয়ায় সাধারণত উত্তরের রাজ্যগুলোতে নভেম্বরে এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে ডিসেম্বরে বর্ষাকাল শেষ হয়। ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহ দেশটিতে আরও বৃষ্টিপাত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, তারাবা, ইবোনি, বেনু এবং ক্রস রিভার রাজ্যের কিছু অংশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এর প্রভাবে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। বেশ কয়েকটি বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণেও দেশটিতে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এজেকিয়েল বলেছেন, মানুষজন আঞ্চলিক পরিকল্পনা (বিধি) লঙ্ঘন করে জলপথের কাছাকাছি ঘরবাড়ি নির্মাণের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা গত মাসে সতর্ক করে বলেছে, ক্ষুধা বিপর্যয়ের উচ্চঝুঁকিতে থাকা ছয়টি দেশের মধ্যে নাইজেরিয়াও রয়েছে।
নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৫০০ জনের মৃত্যু
0
Share.