কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ মৃত্যু

0

ঢাকা অফিস: কুষ্টিয়ায় লকডাউনেও থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। গতকাল শনিবার (০৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রোববার (০৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদেরে মধ্যে করোনায় ১৩ এবং ছয়জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ২৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।রোববার (৪ জুলাই) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার।তাপস কুমার সরকার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৬০৯ টি নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১.৬৯ শতাংশ। সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায় শনাক্ত বাড়ছে। শনাক্ত ১৯৩ জনের মধ্যে এ উপজেলাতেই ৪৫ জন, সদরে ৩৬ জন, খোকসা ও কুমারখালী উপজেলাতে ৩১ জন করে, ভেড়ামারায় ২৭ জন ও মিরপুর উপজেলায় ২৩ জন রয়েছেন।জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭৬২ জন।বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ২২৮ জন।কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউন আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এ সময় ওষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ছাড়া বাকি সবধরনের দোকান, শপিংমল বন্ধ থাকবে।কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশি করা হচ্ছে। সবার কাছ থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সহযোগিতা পাচ্ছি।সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বললেন, সরকার সবকিছু দিয়ে করোনা মহামারি মোকাবিলা করছে। সরকারের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সামরিক প্রশাসনকে তারা সহযোগীতা করছেন।উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত টানা ১৯ দিন কঠোর বিধিনিষেধ ও লকডাউন চললেও জেলার করোনা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।

Share.