ঘরে বসেই বদলি হতে পারবেন শিক্ষকরা

0

ঢাকা অফিস: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম অনলাইনে শুরুর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে শিক্ষকদের আর হয়রানি, অর্থ ব্যয় ও দালালদের কাছে যেতে হবে না। ঘরে বসে আবেদন করে বদলি হতে পারবেন শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সফটওয়ার প্রেজেন্টেশন করা হয়েছে। নতুন বিষয়গুলো ইনপুট দেওয়া হলেই অক্টোবরে অনলাইন বদলি চালু করতে চাই।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবরের শুরু থেকে অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি শুরু করার ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। তারপরও চলতি মাসেই সফটওয়ার ট্রায়াল শেষ করে বদলি কার্যক্রম শুরু করতে নতুন বিষয় ইনপুট দিতে কাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অনলাইন এই বদলিতে প্রতিবন্ধী, গুরুতর অসুস্থ শিক্ষক ও বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে বা বিধবা নারী শিক্ষকরা, স্বামী/স্ত্রী বা সন্তান দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিক্ষকদের জন্য জন্য নতুন অপশন যুক্ত করার কাজ চলছে। সফটওয়্যারে নতুন এই বিষয়গুলো ইনপুট দেওয়া সম্পন্ন করার পর এ মাসেই বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে কোনও কারণে সফটওয়ার ট্রায়ালে যদি বেশি সময় লাগে সেক্ষেত্রে নভেম্বর থেকে পুরোপুরি চালু হবে। এর গত ১২ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তৎকালীন মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে নতুন বিষয় ইনস্টল করার সিদ্ধান্ত নেন।  ওই সময় সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল হোসেন জানিয়েছিলেন, শিক্ষকরা যেন আর হয়রানির শিক্ষার না হন, দালালদের কাছে যেতে না হয়। ঘরে বসেই যেনও বদলির আবেদন করতে পারেন।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তৎকালীন মহাপরিচালক জানিয়েছিলেন, আবেদন করার পর কোথাও আবেদন আটকে থাকবে না। কেউ আটকে রাখলে তাকে কৈফিয়ত দিতে হবে। হার্ডকপিতে দেরি করার যে সুযোগ ছিল অনলাইন আবেদনে তা থাকবে না।  ফলে শিক্ষকরা হয়রানির হাত থেকে বাঁচবে। ২০২০ সাল থেকে অনলাইনে ভর্তির কার্যক্রম শুরু করার জন্য এ বছর ফেব্রুয়ারিতে জরুরি বদলি ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু কম সময়ে অনলাইন বদলি শুরু করতে না পারায় গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে হার্ড কপির আবেদনে বদলি কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে তাও সম্ভব হয়নি। জরুরি বদলিও আটকে যায়।উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বদলি কার্যক্রম জানুয়ারিতে শুরু হয়ে চলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিবছর এই বদলি নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বদলির সময় অধিদফতরের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দালালরা শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।

Share.