পালানো ১০ করোনা রোগীর অবস্থান শনাক্ত, আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে

0

বাংলাদেশ থেকে যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের রেড জোন থেকে পালানো ১০ করোনা রোগীর অবস্থান শনাক্ত করেছে প্রশাসন। আপাতত তারা নিজ নিজ বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে থাকবেন বলে জানা গেছে।যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন আজ সোমবার বিকেলে জানান, স্থানীয় প্রশাসনের তদারকিতে এসব করোনা রোগীদের আপাতত নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। পরে নয় জনকেই আবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আনা হবে ও প্রত্যেকের আবার করোনা পরীক্ষা করা হবে। এর মধ্যে শুধুমাত্র সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির প্রতাপপাড়ার মিলন হোসেনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রেখেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত যশোর আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে ১০ জন করোনা রোগী পালিয়ে যান। এদের মধ্যে সাতজনই ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ঢোকেন। পালিয়ে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে যশোরের চার, খুলনার তিন, সাতক্ষীরার দুই ও রাজবাড়ী জেলার একজন রয়েছেন।ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া সাতজন যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢোকে। এ সময় তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের রেড জোনে রাখে কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে গত ১৮ এপ্রিল খুলনা জেলার সদর থানার কলিম কৃষ্ণের ছেলে বিবেকানন্দ (৫২), ২৩ এপ্রিল সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়ার জালাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন, একই জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মনতোষ সরদারের স্ত্রী শেফালী রানী (৪০), যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার বিশ্বনাথ দত্তের  স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), রাজবাড়ী জেলা সদরের রামকান্তপুর  এলাকার গোলাম রাব্বানীর  মেয়ে নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনার পাইকগাছা থানার ডামরাইল গ্রামের আহমদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২) এবং ২৪ এপ্রিল খুলনার রূপসা এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭) পালিয়ে যান।পালিয়ে যাওয়া বাকি তিনজনের বাড়ি যশোর জেলায়। এ তিনজন যশোর থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তারা হলেন যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা (১৯), একই গ্রামের একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০) ও যশোর শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ এলাকার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭)।যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘করোনা রোগী পালানোর কথা শুনে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হাসপাতালের রেজিস্টারে এসব রোগীর নাম, ঠিকানা, মোবাইল ফোন নম্বর ও পাসপোর্ট নম্বর রয়েছে। এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘ওই সাতজন যেহেতু ভারত থেকেই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়ে এসেছিলেন, তাই দেশে ঢোকার পর তাদের আর পরীক্ষা না করেই রেড জোনে রাখা হয়েছিল। আরও কিছুদিন পর তাদের নমুনা পরীক্ষা করা দেখা হত যে, তারা করোনা নেগেটিভ হয়েছেন কিনা। এর আগেই তারা পালিয়ে গেছেন। তাদের কোনো নমুনাও রাখা নেই। তাছাড়া করোনার যে নতুন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কথা বলা হচ্ছে, এই সাতজনের মধ্যে কেউ সেই ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত কিনা, সেটি শনাক্ত করার প্রযুক্তি যশোরে নেই।’

Share.