ব্রেক্সিট পার্টির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান জনসনের

0

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে কনজারভেটিভ ও ব্রেক্সিট পার্টির জোটগতভাবে কাজ করার প্রস্তাব নাকচ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সাম্প্রতিক এক রেডিও অনুষ্ঠানে ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলাপচারিতায় দুই দলের এক হয়ে লড়াই করার প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। ট্রাম্প ও নাইজেল দুইজনই জোটগত লড়াইয়ের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে ‘এই উপদেশের জন্য কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন জনসন। তবে জোটগত নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইইউ-জনসন সমঝোতা হলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। পার্লামেন্ট প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিলেও জনসনের পক্ষ থেকে আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়,তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ফলে জনসনকে তাকিয়ে থাকতে হয় ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। পরে ইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত সূচি ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, কনজারভেটিভ পার্টির মতো করে নাইজেল ফারাজের ব্রেক্সিট পার্টিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে সরব। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন  সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেরেমি করবিনের লেবার পার্টিকে হারাতে সমমনা কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে সমঝোতার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করবে ব্রেক্সিট পার্টি। শোনা যাচ্ছে, কনজারভেটিভ পার্টির জয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোনও আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে দলটি। তবে এজন্য তারা জনসনের প্রস্তাবিত চুক্তি বাতিল চায়। তবে নির্বাচনের সময় কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে চুক্তি করতে চায় ব্রেক্সিট পার্টি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, জনসন ও নাইজেল এক হয়ে নির্বাচনে ‘অদম্য শক্তি’ হবে। অবশেষে এক হওয়ার ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন জনসন। ডাউনিং স্ট্রিট সূত্র জানিয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টি ব্রেক্সিট পার্টির সঙ্গে কাজ করার মতো কোনও পরিকল্পনা নেই। সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনও পার্টির সঙ্গে চুক্তি করার সমস্যা হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে জেরেমি করবিনকে ১০ নং-এ (ডাউনিং স্ট্রিট) যেতে দেওয়ার ঝুঁকি নেওয়া। ওইটার (নির্বাচনকালীন চুক্তি) সমস্যা হচ্ছে যে তার (করবিন) পরিকল্পনা হচ্ছে মূলত ব্রেক্সিটকে বিলম্ব ও অনিশ্চিত করা।’ সম্প্রতি ফারাজ খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি বাতিল করে সমমনাদের নিয়ে জোট গঠনে আহ্বান জানান। সে সময় তিনি ব্রেক্সিট পার্টির সমঝোতা না করলে নির্বাচনে একক প্রার্থী দেওয়ার হুমকি দেন। তবে ওই নির্বাচকালীন চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বরিস জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কনজারভেটিভ সরকারকে ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার মানে হচ্ছে মূলত করবিনকে নির্বাচিত করা।’

Share.