মাদারীপুরে দু‘পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১০

0

বাংলাদেশ থেকে মাদারীপুর  প্রতিনিধি: মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি মসজিদ ও কয়েকটি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় সৈদারবালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সৈদারবালী এলাকার নাজিমউদ্দীন রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪১), মতিউর রহমান হাওলাদারের ছেলে মিনহাজুর রহমান (১৬), ২নং শকুনি এলাকার কাজী মাইনুদ্দিনের ছেলে আবদুল হাকিম (৫০) ও শামীম মুন্সীর ছেলে আসিফ মুন্সী (১৩)সহ চার জনের নাম পাওয়া গেছে। বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পৌর এলাকার সৈদারবালী ও ২নং শকুনি এলাকার কিশোরদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন আগে সৈদারবালী এলাকার সেকেন হাওলাদারের ছেলে রোমান হাওলাদার শকুনি এলাকায় গেলে সাগর মুন্সী ও তার সহযোগীরা মারধর করে রোমানকে। ঘটনার কিছুদিন পরে শকুনি এলাকার তুষার হোসেন নামে এক কিশোর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। শুক্রবার সকালে শকুনি এলাকার সাগর মুন্সীর লোকজন হাসপাতালে তুষারকে দেখতে গেলে রোমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাগর মুন্সী ও রোমান হাওলাদারের সমর্থকরা সৈদারবালী এলাকার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে তিনজন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ১০জন আহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্থানীয় একটি মসজিদ ও অন্তত পাঁচটি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রিয়াদ মাহামুদ বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ থেকে ৯ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন টেঁটাবিদ্ধ। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তি রয়েছে বেশ কয়েকজন। আহতদের প্রত্যেকের শরীরে দেশীয় অস্ত্রের গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’ মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”

Share.